রোজা সম্পর্কে কোরআন ও হাদিস এবং দোয়া (Quran and Hadith and Dua about Fasting)

ভুমিকা ঃ

 ফরজ রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলিম নর নারীর উপর কর্তব্য। অস্বীকার করলে কাফের হবে। আল্লাহ তা'আলা কোরআন মাজীদে এরশাদ করেন"হে ঈমানদারগণ, তোমাদের উপর (রমজান মাসের) রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন তোমাদের পূর্ব পুরুষদের উপর ফরজ করা হয়েছিল । দৃঢ় বিশ্বাস যে, তোমরা (আল্লাহর হুকুম) মান্য করে সাধুত্ব লাভ করবে।

হাদিসে যা বলে ঃ

 *আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ(রাঃ) বলেন, আমাকে রাসূল(সাঃ) বলেছেন, যারা রমজানের চাঁদের প্রথম তারিখ হতে শেষ তারিখ পর্যন্ত রোজা রেখেছে, তারা ওই দিনের ন্যায় নিষ্পাপ হবে, যেদিন তাদের মাথা তাদের কে নিষ্পাপ রূপে প্রসব করেছিলেন।
*আল্লাহ তা'আলা বলেছেন, হে মোহাম্মদ(সাঃ) আমার বান্দা গন (এত কষ্ট স্বীকার করে) আমার সন্তুষ্টির জন্যই রোজা রেখে থাকে। অতএব রোজার পরিবর্তে আমি নিজেই তাদের সম্মুখে হাজির থাকব (এবং আমার ইচ্ছা অনুযায়ী তাদেরকে সন্তুষ্ট করবো)। (বোখারী)

রোজা-সেহেরি ও ইফতার ঃ

 ছেলেদের প্রাপ্তবয়স্ক হলে রোজা ফরজ হয়। সুবহে সাদেক হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া,স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাই রোজা। মানে সংযম প্রদর্শন করা। বৃদ্ধাবস্থায় কেউ যদি একেবারে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সবল হওয়ার আর আশা না থাকে,তবে রোজা না রেখে প্রতিদিন রোজার বদলে ফিদিয়া আদায় করলে হবে। প্রত্যেক রোজার জন্য এক সের ১২ ছটাক আরো কম অথবা তার মূল্য মিছকীন দেয়ার নাম ফিদিয়া। এক রোজার ফিতিয়া একজন মিছকীন অথবা কয়েকজন মিছকীন কে দেয়া যেতে পারে।

রোজা রাখার উদ্দেশে রাতে যে আহার করা হয়, তাকে সেহেরি বলা হয় এবং সহ্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোন কিছু আহার করাকে ইফতার বলে। সেহেরি খাওয়ার পরে পানি দ্বারা উত্তমরূপে কুলি করে রোজার নিয়ত করতে হয়। নিয়ত করা ফরজ। কোনদিন রাতে নিয়ত করতে ভুলে গেলে পরের দিন দুপুরের পূর্বে নিয়ত করলেও হবে

রোজার নিয়তঃ 

نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم

উচ্চারণ : নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।{যদি দিনের বেলায় দুপুরের পূর্বে নিয়ত করতে হয়, তবে (আছুমা গাদাম) এর পরিবর্তে 'আছুমাল ইয়াওমা' পড়তে হয:}

অর্থঃ-হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়্যত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোযা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।

ইফতারের দোয়াঃ

بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ 

বাংলা উচ্চারণঃ-আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

অর্থঃ-হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url