পাক পবিত্রতার বিবরণ ও অপবিত্র হওয়ার কারণসমূহ

আপনারা কি পাক পবিত্রতার বিবরন ও অপবিত্র হওয়ার কারণ সমূহ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এখানে আপনি তাহারাত কি এটি সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
সকল তথ্য বিস্তারিত জানতে পুরো পোস্টটি পড়তে থাকুন।

তাহারাত বলতে কি বুঝি?

তাহারাত শব্দের অর্থ পবিত্রতা,পরিছন্নতা ইত্যাদি। আর শরীয়তের পরিভাষায় অন্তরকে সকল নিষিদ্ধ কাজ থেকে বিরত রাখা এবং বাহ্যিকভাবে সকল অপবিত্রতা থেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকাকে তাহারাত বলা হয়।ইসলামী বিধানে পাক পবিত্রতার গুরুত্ব অধিক। তাছাড়া সাধারণভাবেও মানুষের পাক-পবিত্রতা রক্ষার প্রয়োজন রয়েছে। মানুষ আল্লাহর শ্রেষ্ঠ জীব সে হিসেবে অন্যান্য নিকৃষ্ট জীব বা পরশু পাখির মত মানুষ অপবিত্র বা অপরিষ্কার থাকতে পারে না। এটা মানুষের মর্যাদার বিপরীত। পাক পবিত্রতা দুই প্রকারের-
  • অভ্যন্তরীণ পাক পবিত্রতা
  • বাহ্যিক পাক পবিত্রতা।

ভ্যন্তরীণ পাক পবিত্রতাঃ

ক্রো্‌ধ-লোভ, হিংসা,-বিদ্বেষ, জিদ,প্রভৃতি ভাব গুলো সৃষ্টি হয়ে মানুষকে অভ্যন্তরীণ নাপাক বা অপবিত্র করে ফেলে। এগুলো দূরীভূত করে অর্থাৎ চরিত্র সংশোধন করে মানুষকে অভ্যন্তরীণ পবিত্রতা হাসিল করতে হয়।।

বাহ্যিক পাক পবিত্রতাঃ

বাহ্যিক অপবিত্রতা সৃষ্টি হয় কতগুলো বাহ্যিক কারণ দ্বারা। তা থেকে পবিত্রতা হাসিল করতে হয় আবার বাহিরের বস্ত্রসমূহের মাধ্যমে যথাস্থানে এসব বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করবো তার পূর্বে পাক পবিত্রতার ফজিলত সম্পর্কে সামান্য আলোচনা করা হলো। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে বলেছেন নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন(সূরা বাকারা, আয়াত;২২২)

এজন্য আল্লাহতালা তার সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত নামাজ আদায়ের জন্য তার বান্দার প্রতি পাক পবিত্রতার জন্য শুধু শর্ত করে দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, পাক পবিত্রতা ঈমানের অর্ধেক(সুনানে তিরমিজি্‌, হাদিস;৩৫১৯)
অন্য এক হাদিসে বলেছেন পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক অংশ।(সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ৪২২)

অপবিত্র হওয়ার কারণসমূহঃ

মানুষ নাপাক হয় দু'ভাবে। আভ্যন্তরীণভাবে এবং বাহ্যিকভাবে। নাপাক হওয়ার অবস্থা আবার দু'টি। যেমন-(ক) দেহাভ্যন্তরগত নাপাক ও (খ) বহিরাগত নাপাক।

দেহাভ্যন্তরগত নাপাকঃ

স্বামী-স্ত্রীর গুপ্ত অঙ্গ মিলিত হওয়া,যে কোন ভাবে বীর্যপাত হওয়া, স্ত্রী লোকের হায়েয-নেফাস হওয়া।
উল্লেখিত অবস্থাগুলোতে মানুষ অপবিত্র হয়।এসকল অবস্থায় পবিত্রতা হাসিলের জন্য গোসল করা আবশ্যক।এছাড়া মানুষের মল মুত্র দ্বার হতে মল-মুত্র,বা অন্য কিছু বের হওয়া কিংবা শরীরের কোন জখমাদি হতে রক্ত,পুঁজ ইত্যাদি বের হয়ে জখমের মুখ হতে গড়িয়ে যাওয়ায় মানুষ লঘু নাপাক হয়,অর্থাৎ এসব অবস্থায় গোসলের প্রয়োজন হয় না কেবলমাত্র ওযু করলেই পবিত্রতা হাসিল হয়।

বহিরাগত নাপাকঃ

মানুষের মলমূত্র অঙ্গে লাগা। হালাল জন্তু অর্থাৎ যেসব জন্তুর মাংস হালাল সেগুলো। যথা-গরু, ছাগল, ভেড়া, মেষ, দুম্বা, ইত্যাদির মলমূত্্‌ এছাড়া রক্ত, শরাব, ভ শূকরের মাংস শূকরের পোশম, শূকরের হার প্রভৃতি নাপাক বস্তুগুলো শরীরে লাগলে শরীর নাপাক হয়। এই অবস্থায় শরীরের নাপাক স্থানটুকু উত্তম ভাবে ধুয়ে ফেললেই শরীর পবিত্র হয়। এমতাবস্তায় গোসলের প্রয়োজন হয় । উল্লেখিত নাপাক বস্তু কাপড় চোপড়ে লাগলে তাও নাপাক হয়ে যায়।তখন তা ভালভাবে ধুয়ে পাক পবিত্র করতে হয়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url