কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোথায় ব্যবহৃত হয়? বিস্তারিত জেনে নিন

আপনারা কি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোথায় ব্যবহৃত হয়? এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। আপনি এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সহ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কেও জানতে পারবেন।


তাই আর দেরি না করে এখনি আমাদের লেখা এই আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পড়তে থাকুন। আসা করি আপনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

ভূমিকাঃ

আপনারা এই আর্টিকেল দ্বারা মূলত, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোথায় ব্যবহৃত হয়? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বাংলাদেশ এবং ব্যবসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা মানুষ অনেক লাভবান হচ্ছে আবার অনেক ক্ষতির স্বীকার হচ্ছেন।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে আপনি যেকোনো জিনিস সম্পর্কে জানতে পারবেন আবার এটি দ্বারা বিভিন্ন জায়গায় কাজে লাগাতে পারবেন। বর্তমানে অনেক দেশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে। তাছাড়াও দিন দিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আরও উন্নত হচ্ছে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে ইংরেজিতে Artificial Inteligent বলে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হলো মানুষের বুদ্ধি এবং চিন্তা শক্তিকে কম্পিউটার এর সাহায্যে প্রতিফলন করা। কম্পিউটার এর সাহায্যে এখন এ আই মানুষ এর মত ভাবতে পারে। কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নিজস্ব কোন বুদ্ধি নেই। 

কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভেতরে সকল ডাটা ডাউনলোড করে প্রবেশ করানো হয়েছে। বর্তমানে আপনি এ আই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা যেকোনো তথ্য খুব সহজে বের করে নিতে পারবেন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অনেক রয়েছে যা আপনারা পরবর্তীতে জানতে পারবেন।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোথায় ব্যবহৃত হয়?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা থাকার কারনে এটি অনেক যায়গায় ব্যবহিত হয়। কিন্তু আপনদের জেনে রাখা ভালো যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রধানত ৪টি ক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।
  • বায়োইনফরমেটিকসঃ এটি জীববিজ্ঞান এর একটি অংশ। এখানে এ আই ব্যবহার করে জীববিজ্ঞান এর অনেক সমস্যা সমাধান করা হয়। আগে এ আই এর ব্যবহার তেমন না হলেও বর্তমানে এ আই আপডেট এর কারনে খুব ভালো ভাবে বায়োইনফরমেটিকস এ ব্যবহার করা যায়।
  • রোবোটিক্সঃ রোবোটিক্স বলতে আমরা বুঝি যেখানে রোবট তৈরি করার ডিজাইন, রোবট নির্মাণ, বিভিন্ন রোবটিক্স কার্যক্রম করা হয়। রোবট মানুষ এর মত দেখতে বা বিভিন্ন রকম দেখতে হয়। রোবট মানুষ এর তুলনায় অধিক শক্তিশালী হয়ে থাকে। বর্তমানে রোবটিক্স কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করা হয়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারে রোবটিক্স কাজে আরও উন্নতি করা সম্ভব হয়েছে।
  • ন্যানোটেকনোলজিঃ বিভিন্ন পারমাণবিক কিংবা আণবিক কাজে ক্ষুদ্র যন্ত্রপাতি বা ডিভাইস বানানোর জন্য ধাতব বস্তুকে ভালভাবে কাজে লাগানোকে ন্যানোটেকনোলজি বলে। ন্যানোটেকনোলজি কম্পিউটার হার্ডওয়ার তৈরিতে, ন্যানো রোবট তৈরিতে, ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি তৈরিতে, বিভিন্ন জ্বালানি ক্ষেত্রে, চিকিৎসা ক্ষেত্রে, খেলাধুলার ক্ষেত্রে এবং ইত্যাদি আরও ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়ে থাকে। আর এই ন্যানোটেকনোলজি কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার খুব ভালো অবদান রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারনে এই কাজে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়।
  • বায়োমেট্রিক্সঃ বায়োমেট্রিক্স বলতে আমরা এমন একটি প্রযুক্তি বুঝি যেখানে মানুষের দেহের গঠন পরিক্ষা করে সেই বেক্তিকে শনাক্ত করে থাকে। যেমন মোবাইল ফোনের ফিঙ্গারপ্রিন্ট সিস্টেম। এই সিস্টেম এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কাজ করে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ছাড়া আজ বায়োমেট্রিক্স সিস্টেম এতো জনপ্রিয় হতে পারতো না।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ভবিষ্যৎঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বর্তমানে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে সেই হিসেবে ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরও উন্নতি হবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা অনেক থাকার পরও এর অনেক গুলো অসুবিধাও রয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারনে অনেক ক্ষতি হতে পারে। বর্তমানে প্রায় শোনা যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা মানুষ এর নেকেড ছবি ও ভিডিও বানিয়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করা হয়।
এই ক্ষেত্রে সকলের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে করে সামনে অনেক কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা আরও সহজ হয়ে যাবে। যার কারনে অনেক মানুষ কর্ম হারাবে। এর ফলে বেকার সংখ্যা বেড়ে যাবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভালো মনে হলেও আসলে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে এটি অনেক ভয়াবহ আঁকার ধারন করতে পারে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা থাকার কারনে মানুষ বর্তমানে ব্যপক হারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাবের কারনে বেশির ভাগ মানুষই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রতি ঝুঁকে পরতেছে। বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে বিভিন্ন ছবি বানানো থেকে শুরু করে, ভিডিও এডিট কিংবা ভিডিও বানানো, কন্টেন্ট তৈরি করা, বিভিন্ন তথ্য খুজে বের করা, বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং কাজে ব্যবহার করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়ঃ
দিনদিন এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব বেড়েই চলেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা বিভিন্ন কাজ অনেক সহজ হয়ে যাওয়ার কারনে এটি বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে উবস্থান করতেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রভাব এততাই বেড়েছে যে বর্তমানে বিভিন্ন রোবট বানাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার আবশ্যক। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঠিক ব্যবহার করার জন্য এখন বিভিন্ন জায়গায় এ আই জানার জন্য প্রশিক্ষন পর্যন্ত দেওয়া কিংবা নেওয়া হচ্ছে। 

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধাঃ

  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্ট দ্বারা আপনি কঠিন কাজগুলো খুব সহজ ভাবে করতে পারবেন।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আর একটি সুবিধা হলো আপনি আপনার পছন্দমত ছবি, ভিডিও বানিয়ে নিতে পারবেন।
  • আবার আপনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা ছবি কিংবা ভিডিও খুব সুন্দর ভাবে এডিট করে নিতে পারবেন।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা যেকোনো কাজ খুব দ্রুত করা সম্ভব।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা আপনি ব্যবসা ও শিল্পে উন্নতি করতে পারবেন।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আপনি শিক্ষা ক্ষেত্রে লাভবান হতে পারবেন। কারণ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় অর্থাৎ এ আই দ্বারা আপনি যেকোনো বিষয় খুব সহজে বের করতে পারবেন।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা আপনি যেকোনো ক্ষেত্রে বিভিন্ন ডিজাইন বানিয়ে নিতে পারবেন। যেমন গাড়ির ডিজাইন, লোগো ডিজাইন ইত্যাদি।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধাঃ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা যেমন রয়েছে তেমন আবার অনেক অসুবিধাও রয়েছে। চলুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক-
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারনে অনেকে তাদের চাকরি হারাচ্ছে। কারণ এখন বিভিন্ন কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা খুব সহজে দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা AI সিস্টেমগুলো আবেগ বা মানবিক অনুভূতি বুঝতে পারে না। এর ফলে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়ে থাকে।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর একটি বড় অসুবিধা হলো সাইভার আক্রমনের ঝুঁকি থাকে।
  • সকল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেম গুলো ফ্রিতে ব্যবহার করা যায় না। এর ফলে অনেক অর্থ ব্যয় করতে হয়।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা কাজ করা অনেক সহজ হওয়াতে মানুষের মধ্যে ব্যাপক অলসতা চলে আসে।
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার অনেকে খারাপ কাজে লাগায়। এর ফলে অনেকের ক্ষতি হয়ে থাকে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বাংলাদেশঃ

বর্তমানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নতির পাশাপাশি দেশও অনেক উন্নতি হচ্ছে। তাহলে আমাদের বাংলাদেশ কেন পিছিয়ে থাকে? বাংলাদেশে এখন প্রায় মানুষ বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করছে। তাছাড়াও বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন সরকারি কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করতেছে। এর ফলে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করতে পারতেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনযাত্রার মানকে অনেক উন্নতি করছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা অনেক সুবিধা পাওয়া যায়ঃ
তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারনে বাংলাদেশে দিন দিন অপরাধ এর সংখ্যা বাড়ছে। কারণ এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার ভালো কাজে ব্যবহার না করে বিভিন্ন খারাপ কাজে ব্যবহার করে থাকে। এর ফলে মানুষের ক্ষতির কোন সীমা থাকে না। তাই বাংলাদেশ সরকার কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জন্য আইন নির্ধারণে কাজ করে যাচ্ছে।

ব্যবসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাঃ

  • অটোমেশন: AI ব্যবসায় অটোমেশন প্রক্রিয়াকে উন্নত করে থাকে। এর ফলে কাজের গতি বাড়ায় এবং খরচ অনেক কমিয়ে ফেলে।
  • ডেটা বিশ্লেষণ: ব্যবসা ক্ষেত্রে  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা বিশ্লেষণ করে থাকে। যার ফলে আপনার ব্যবসায় উন্নতি হবে।
  • গ্রাহক সেবা: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা গ্রাহক সেবা খুব ভালো ভাবে প্রদান করা যায়। এর গ্রাহকদের সাথে আপনার সম্পর্ক ভালো থাকে।
  • বিপণন কৌশল: AI বিপণন কৌশল তৈরি করতে সাহায্য করে থাকে। এর ফলে আপনি ব্যবসায় ভালো কিছু করতে পারবেন।
  • ঝুঁকি বিশ্লেষণ: আপনার ব্যবসা ক্ষেত্রে কি কি ঝুঁকি থাকতে পারে টা  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুব ভালো করে বিশ্লেষণ করে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।
  • ভয়েস সুবিধাঃ আপনি ব্যবসা ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দ্বারা যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় ভয়েস এর মাধ্যমে যেকোনো জিনিস সম্পর্কে জানতে পারবেন। এর ফলে ব্যবসা ক্ষেত্রে আপনার তেমন ভুল হবে না।  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা গুলোর দ্বারা আজ  কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চারদিকে ছড়িয়ে পরছে।

লেখকের মতামতঃ

এখন পর্যন্ত আপনারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলেন। তবে আপনাদের জেনে রাখা ভালো যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সুবিধা থাকলেও এটি দ্বারা আমাদের অনেক ক্ষতি হতে পারে। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তর ব্যবহার আমাদেরকে বুঝে শুনে করতে হবে। যাতে এটি দ্বারা আমাদের কোন ক্ষতি না হয়।

পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করে পাশে থাকবেন। আপনাদের সাপোর্ট আমাদেরকে অনুপ্রেরিত করবে সদা সঠিক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url