মেয়েদের মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়?

আপনি কি মেয়েদের মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়? এই সম্পর্কে জানতে ছাচ্ছেন? তাহলে আপনি ঠিক জায়গাতেই এসেছেন। আপনি আমাদের এই পোস্ট এ মেয়েদের মাসিক হলে কি কি সমস্যা হয়? মাসিক কি? মাসিক এর লক্ষন কি? ব্যথা কেন হয়? কি খাওয়া উচিত? কি খাওয়া উচিত না? উপকারিতা কি?এসব সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে জানতে পারবেন।


মাসিক মেয়েদের জীবনে অতি সাধারণ বিষয়।মাসিক হলে মেয়েদের নানা প্রকার সমস্যা হয়ে থাকে।কিন্তু এসব সমসস্যার পিছে ভালো দিক রয়েছে।মাসিক এর যন্ত্রনা প্রচুর যা শুধু মেয়েরাই ভালো ফিল করতে পারে।

ভুমিকাঃ

ঋতুস্রাব কিংবা মাসিক যাকে সাধারণত পিরিয়ড বলা হয়, এটি জরায়ুর আস্তরণের (এন্ডোমেট্রিয়াম) ক্ষরণ যা বয়ঃসন্ধিকাল এ পৌঁছেছে এমন মেয়ে এবং গর্ভবতী নয় এমন মহিলাদের মধ্যে মাসে প্রায় একবার ঘটে থাকে। মাসিক ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত হতে পারে।এই সময় প্রথম ২ দিন প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হয় কিন্তু ৩ দিন এর মাথায় ক্ষরণের মাত্রা কমে যায়।

বয়ঃসন্ধিকাল ছেলে মেয়েদের জিবনের এমন একটি সময় যে সময় ছেলে মেয়েদের শরীরে অনেক পরিবর্তন লক্ষ করা যায়।মাসিক একটি মেয়ের যখন ১০ থেকে ১৪ বছর; এমন বয়স থেকে শুরু করে প্রায় ৫০ বছর পর্যন্ত হয়ে থাকে। মাসিক মেয়েদের যোনিপথ দিয়ে রক্তস্রাব এর মাধ্যমে হয়ে থাকে। মাসিক একটি মেয়ের জীবনের অতি সাধারণ দৈহিক প্রক্রিয়া।

মাসিক এর আসল উদ্দেশ্য হলো মেয়েদের সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা কে বৃদ্ধি করা।যেসব মেয়েরা সন্তান জন্ম দিতে পারে সেইসব মেয়ে আসলেই অনেক ভাগ্যবান। এমন অনেক ছেলে রয়েছে যারা মেয়েদের মাসিক নিয়ে অনেক ছেলেরা হাসি ঠাট্টা শুরু করে। এখানে ছেলেদের বোঝা উচিত যদি মেয়েদের মাসিক না হত তাহলে তারা আজ এই পৃথিবীতে জন্ম নিতে পারতো না এবং কখন তারা সন্তান এর হাসি মুখ দেখতে পেত না।

মেয়েদের মাসিক হওয়ার লক্ষণঃ

মেয়েদের মাসিক শুরু হওয়ার আগে তাদের মধ্যে কিছু পরিবর্তন শুরু হয় একে প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোমও বলা হয়ে থাকে। মাসিক শুরু হওয়ার আগে অনেক এর মধ্যে প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম দেখা গেলেও আবার কিছু মেয়েদের মধ্যে প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম দেখা যায় না।
কয়েকটি প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম বা মাসিক হওয়ার লক্ষণ দেওয়া হলো।যেমন-
  • মেয়েদের মেজাজ ঘন ঘন পরিবর্তন হওয়া।
  • যেকোনো কিছুতে বিরক্তি চলে আসা।
  • খাবার এর প্রতি অনিহা চলে আসা।
  • মাথা যন্ত্রনা করা বা ব্যথা করা।
  • ঘন ঘন যোনিপথে রক্তপাত হওয়া।
  • বমি হওয়া কিংবা বমি বমি ভাব হওয়া।
  • তলপেটে প্রচুর পরিমানের ব্যথা অনুভব করা।
  • স্তন কোমল হয়ে যাওয়া।
  • মুখমণ্ডল এ ব্রন বের হওয়া।
  • ঠিকমতো ঘুমাতে না পারা।

মাসিকের সময় পেটে ব্যথার কারণঃ

মাসিক এর সময় মেয়েরা তলপেটের ব্যথা নিয়ে বেশি সমস্যায় পরে।এই সময় তারা প্রচণ্ড ব্যথা সহ্য করে থাকে।মাসিক এর সময় জরায়ু দিয়ে প্রচুর রক্ত ক্ষরণ হওয়ার কারনে জরায়ু সংকুচিত হতে থাকে। এই সময় মেয়েদের জরায়ুর টিস্যু হতে এক ধরনের তরল পদার্থ বের হয় যার ফলে মেয়েদের পেটে অর্থাৎ তলপেটে ব্যথা শুরু হয়।

এই সময় জমাটবাধা রক্তের নির্গমনের ফলে মেয়েদের মাথাব্যথা করা শুরু করে।সাধারণত ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সের মেয়েরা এই ব্যথা বেশি অনুভব করে।মাসিক এর ব্যথা মাঝে মধ্যে প্রচুর পরিমানে বেড়ে যেতে পারে।

মাসিকের সময় পেটে ব্যাথা হলে করণীয়ঃ

মাসিক এর সময় মেয়েরা প্রচণ্ড পরিমানে কষ্ট পেয়ে থাকে। এখন আমরা জানবো মাসিক এর সময় পেটে ব্যথা হলে করণী কি কি।যেমন-
  • মাসিক এর ব্যথা খুবই যন্ত্রদায়ক। এই সময় গরম পানির সেঁক একটি ভালো মাধ্যম।গরম পানির সেঁক মাসিক এর ব্যথা কমাতে ভাল কাজ করে। হট ওয়াটার ব্যগ এ গরম পানি প্রবেশ করিয়ে তা পেটে সেঁক দিতে হবে। গরম পানির সেঁক দেওয়ার সময় মেয়েদের কে খুব সাবধানতা মেনে চলতে হবে;কারন গরম পানির গরমের মাত্রা বেশি হলে তা পেটে সেঁক দেওয়ার সময় সমস্যা হতে পারে।
  • আবার শ্বাস এর ব্যায়াম এর মাদ্ধমেও মাসিক এর ব্যথা কমানো যেতে পারে। শ্বাস এর ব্যায়াম এর নিয়ম হলো এক হাত বুকে এবং আর এক হাত পেটের ওপর রেখে জরে জরে শ্বাস নিতে হবে।
  • মাসিক এর ব্যথা কমানোর সব চেয়ে ভালো উপায় হলো আদার রস কিংবা খালি মুখে আদা খাওয়া। যদি কোণ মেয়ে মাসিক শুরু হবার ৪/৫ দিন আগে থেকে আদা খাওয়া শুরু করে এবং মাসিক শুরু হবার পর চায়ের সাথে,গরম পানির সাথে,ছোট ছোট পিচ করে খালি মুখে খাওয়া শুরু করে তাহলে এর ফলে মাসিক এর ব্যথা অনেকটা কম অনুভব হবে।
  • গোসল তো আমরা প্রতিনিয়ত করে থাকি। এখন যেসব মেয়েদের মাসিক শুরু হয় তারা যেন গোসল করার সময় কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে। কারন এতে সেই মাসিক হওয়া মেয়েটাকে রিল্যাক্স থাকতে সাহায্য করবে।
  • মাসিক এর সময় ব্যথা শুরু হলে পেটে আলতো করে ম্যাসাজ করা উচিত।এর ফলে মাসিক এর সময় ব্যথা কমাতে অনেক কাজ করে।
  • ক্যামোমাইল নামে একটি চা রয়েছে;মাসিক এর সময় এই চা খাওয়া যেতে পারে।যদি কেউ ক্যামোমাইল চা না খেতে পারে তাহলে তারা যেন গ্রিন টি এর সাথে লেবু মিশিয়ে খায়।এটি মাসিক এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
  • মাসিক শুরু হলে এই সময় প্রচুর পরিমানে পানি পান করা উচিত।পানি বেশি খাওয়ার কারনে পানি মাসিক এর ব্যথা কমাতে ভুমিকা রাখবে।

পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিতঃ

  • মাসিক এর সময় মেয়েদের কে প্রচুর পরিমানে পানি খাওয়া উচিত।মেয়েদের মাসিক এর সময় বদরক্ত বের হওয়ার সাথে সাথে প্রচুর পানি বের হয়ে থাকে। যেহুতু পানি মানুষ এর শরীর কে হাইড্রেটেড রাখতে ভুমিকা রাখে সেহুতু এই সময় পানি বেশি খাওয়া বাদ্ধতামুলক।
  • মাসিক এর সময় মেয়েদের শরীরে প্রচুর আয়রনের ঘাটতি দেখা দেয়।এই সময় আয়রনের ঘাটতির ফলে ক্লান্তিহিনতা,মাথা ব্যথা করা এসব সমস্যা হয়ে থাকে।তাই মাসিক এর সময় মেয়েদের কে প্রচুর পরিমানে আয়রন উপাদান জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।কয়েকটি আয়রন জাতীয় খাবারের নাম হলোঃ                                                                                                  মুরগির-মাংস,ডিম,চিংড়ি,পুঁইশাক,ডাটাশাক,ডুমুর,খেজুর,কিসমিস,আলু,টমেটো,বাঁধাকপি,সবুজ শাকসবজি,পাকা তেঁতুল, ইত্যাদি। 
  • মাসিক এর সময় মেয়েরা অনেক দুর্বল হয়ে থাকে।এই সময় তাদের কলা খাওয়া উচিত।কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি। তাছাড়াও পানি আছে এমন ফল যেমন তরমুজ,টমেটো এসব বেশি খাওয়া উচিত।
  • মাসিক এর সময় ডার্ক চকলেট খাওয়া যেতে পারে।ডার্ক চকলেট এ রয়েছে আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম যা শরীর এর জন্য ভালো।
  • মাসিক এর সময় মেয়েদের শরীরে প্রচুর প্রোটিন এর দরকার হয়। তাই প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন মাছ,ডিম,ডাল,মাংস ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
  • মাসিক এর সময় হজম শক্তি হচ্ছে একটি বড় সমস্যা। হজম শক্তি মাসিক এর সময় কোন কিছু খেলে তা হজম করতে বাধা দেই। এই জন্য মাসিক এর সময় হজম শক্তি বাড়ায় এমন উপাদান সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত।যেমন-সবুজ শাকসবজি হজম শক্তি বৃদ্ধি করে থাকে তাই মাসিক এর সময় বেশি করে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে।

পিরিয়ড হলে কি খাওয়া উচিত নাঃ

  • ক্যাফিনযুক্ত খাবার মাসিক এর সময় না খাওয়াই উচিত।এটি মাসিক এর সময় অনেক সমস্যার কারন হয়ে থাকে। কফিতে রয়েছে প্রচুর ক্যাফিন তাই মাসিক এর সময় কফি খাওয়া যাবে না।
  • মোটাপান বাড়ায় অর্থাৎ চর্বি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না।
  • মদ অর্থাৎ অ্যালকোহল সেবন করা যাবে না,এতে পেটের ব্যথা বেড়ে যেতে পারে আর এই ছাড়াও অ্যালকোহল শরীর এর জন্য ব্যপক ক্ষতিকর।
  • ফাস্ট ফুড জাতীয় খাবার মাসিকের সময় একদম নিষিদ্ধ।মাসিক এর সময় ফাস্ট ফুড এর পাশাপাশি কোন প্রকার ভাজা-পোড়া খাবার খাওয়া উচিত না।
  • মাসিক এর সময় লবন খাওয়া যাবে না এতে শরীর এ অনেক ক্ষতি হতে পারে।
  • মাসিক এর সময় চিনির বদলে গুর খাওয়া যেতে পারে তবে তাও মিষ্টি জাতীয় খাবার এই সময় বাদ দেওয়াই উত্তম।
  • মাসিক এর সময় বেশি মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।ইত্যাদি।

মাসিক হলে কি কি করা যাবে নাঃ

  • মাসিক এর সময় কম পানি খাওয়া যাবে না।যদি কম পানি খাওয়া হয় তাহলে শরীর এ অনেক ক্ষতি হতে পারে।
  • মাসিক এর সময় পেটে প্রচুর ব্যথা হওয়ার কারনে এই সময় উপর হয়ে ছুয়ে থাকা একদমই উচিত না। তাছাড়াও এই সময় উপর হয়ে ছুয়ে থাকলে মাথা ব্যথা শুরু হওয়া থেকে ক্লান্তিহিনতায়,শ্বাস নিতে সমস্যা এসব হতে পারে।
  • মাসিক এর সময় শরীর চর্চা অর্থাৎ ব্যায়াম থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • প্রসাব-পায়খানার চাপ আসলে তা আটকিয়ে রাখা যাবে না।এটা একটি মাসিক অবস্থায় বড় ভুল।
  • মাসিকের সময় বেশিক্ষন না খেয়ে থাকা যাবে না এতে অনেক সমস্যা হতে পারে।এই সময় মেয়েদের কে ঘন ঘন খাওয়া উচিত।
  • যেসব মহিলাদের বিবাহর পর মাসিক হয় সেই সময় যৌনমিলন করা থেকে বিরত রাখতে হবে।
  • মাসিক এর সময় শরীর ওয়াক্স করা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • গ্যাস্ট্রিক বা কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এমন খাবার খাওয়া থেকে ১০০ হাত দূরে থাকতে হবে।অর্থাৎ একদমই খাওয়া যাবে না।
  • কফি খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • রাতে ঘুমানর সময় স্যানিটারি প্যাড ছাড়া ঘুমানো যাবে না।
  • যেসব মেয়ে ধূমপান করে তাদের উচিত মাসিক এর সময় ধূমপান না করা।এতে পেট ব্যথা বেড়ে যেতে পারে।

মাসিক এর উপকারিতাঃ

মাসিক বা পিরিয়ড কে প্রায় মানুষ অস্বস্তি, অসুবিধা,রোগ,অপবিত্র এসব আলোতে দেখে থাকে।কিন্তু মাসিক এ্রর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জৈবিক কাজও করে,যেমন-
  • প্রজনন স্বাস্থ্য: মাসিক একটি সুস্থ প্রজনন ব্যবস্থার লক্ষণ। এটি ইঙ্গিত করে যে শরীর এর ডিম্বস্ফোটন করতে, ডিম্বাশয় থেকে একটি ডিম মুক্ত করতে এবং একটি নিষিক্ত ডিমের সম্ভাব্য রোপনের জন্য জরায়ুর আস্তরণ প্রস্তুত করতে সক্ষম।
  • হরমোন নিয়ন্ত্রণ: মাসিক ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরন সহ হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই হরমোনগুলি শুধুমাত্র প্রজননেই নয়, হাড়ের ঘনত্ব এবং কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্য সহ সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • জরায়ুর আস্তরণ পরিষ্কার করা: মাসিক শরীরকে জরায়ুর আস্তরণ ত্যাগ করতে দেয়, যা গর্ভাবস্থার প্রস্তুতিতে প্রতি মাসে তৈরি হয়।
  • মনস্তাত্ত্বিক উপকারিতা: যদিও মাসিকের সাথে শারীরিক অস্বস্তি হতে পারে। কিছু ব্যক্তি দেখতে পান যে মাসিক তাদের শরীরের সাথে সংযোগের অনুভূতি এবং তাদের প্রজনন স্বাস্থ্যের গভীর উপলব্ধি বৃদ্ধি করে।ইত্যাদি।

শেষ কথাঃ

মাসিক একটি স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যকর প্রক্রিয়া হলেও এটি ব্যথা, অস্বস্তি বা বিরক্তর কারন।আমরা এতক্ষন মাসিক কি,মাসিক এর লক্ষন কি,ব্যথা কেন হয়,কি খাওয়া উচিত,কি খাওয়া উচিত না,উপকারিতা এসব সম্পর্কে উপরিক্ত আলচনায় জানতে পারলাম।মাসিক মেয়েদের জীবন এর একটি কষ্টময় অধ্যায়।মেয়েরা সন্তান এর মুখ থেকে মা ডাকটি শোনার জন্য অনেক কিছু ত্যগ করে।

মাসিক এর সময় প্রচুর পরিমানে পেট ব্যথা করে যা মেয়েরা অনেক কষ্ট সয্য করে থাকে। আমাদের উচিত মেয়েদের মাসিক এর বিষয়টি নিয়ে হাসিঠাট্টা না করে তাদের প্রতি সম্মান রাখা। যদি তারা মাসিক এর মত এত কষ্ট না করত তাহলে আজ আমরা এই পৃথিবীতে আসতে পারতাম না।মাসিক মেয়েদের জীবনে না আসলে তারা কখনো মা হতে পারতো না।

পোস্টটি আপনাদের ভাল লেগে থাকলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে পাশে থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url