ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? বিস্তারিত জেনে নিন।

আপনারা কি ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য কি ক্ষতি করে, কিভাবে করে, ধূমপান প্রতিরোধের উপায়, ধূমপান ছেড়ে দিলে কি উপকার হয়? এই বিষয় গুলি বিস্তারিত জানতে পারবেন।


ধূমপান ছোট থেকে বড় সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছে। ধূমপানকে এখন সবাই একটি সাধারণ বিষয় হিসেবে মনে করে থাকেন।

ভুমিকাঃ

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমাদের দেশে বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন উপায়ে তামাকজাত দ্রব্য হতে ধূমপান করে থাকে। এদেশের অনেকেই ধূমপানের মাধ্যমে নেশা করে থাকে। সিগারেট থেকে শুরু করে বাবা, হিরোইন, গাজা ইত্যাদি ধূমপান এর মাধ্যমে সেবন করে থাকে। ধূমপান মানুষদের কে মৃত্যু শয্যায় নিয়ে যায়। ধুমপানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় পঞ্চাশ লাখ মানুষ।

প্রতিবছর এই মৃত্যু সংখ্যা বিবেচনা করে দেখা যায়,ধূমপানের কারণে একটি মানুষ তার জীবনের প্রায় ১৩ থেকে ১৪ বছর হারিয়ে ফেলে। ধূমপান করার ফলে শরীরে শ্বাস প্রশ্বাস থেকে শুরু করে শরীরে ক্যান্সার, রক্ত চলাচলের গতি কমে যাওয়া, ফুসফুস কালো হয়ে যাওয়া,মুখগহ্বর, যৌন অক্ষমতা, মানসিক চাপ, কাশি বা শ্বাসকষ্ট, গর্ভ অবস্থায় সন্তানের ক্ষতি,ইত্যাদি রোগ বা ক্ষতি হয়ে থাকে। 

ধূমপান খাওয়া থেকে নিজেকে একশ হাত দূরে রাখতে হবে নয়তো ধূমপান আপনার জীবনকে ধ্বংস করে দিবে। নিজের কথা না ভাবলেও অন্তত পরিবার পরিজনের কথা ভেবে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া উচিত। মনে রাখবেন আপনার পিতার পর আপনি হচ্ছেন আপনার পরিবারের ভরসা।

ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরঃ

ধূমপান বলতে আমরা বুঝি যেকোনো তামাক দ্রব্য কে বিভিন্ন মাধ্যমে আগুন এর সাহায্যে পুড়িয়ে তা নিশ্বাস এর দ্বারা সাদা ধোঁয়া কোন মানব শরীরের ভেতরে গ্রহণ করা। এক কথায় বলতে গেলে পুড়ানো জিনিস এর ধোঁয়া নিশ্বাস এর মাধ্যমে শরীর এর ভেতরে যাওয়াকে ধূমপান বলে। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। 

ধূমপান এর মাধ্যমে ধূমপান করা ব্যক্তি নিশ্বাস এর মাধ্যমে যে ধোঁয়া শরীর এর ভেতরে গ্রহন করে তা সরাসরি ফুসফুসের ক্ষতি করে থাকে।ফুসফুস প্রাণীদের শ্বাস প্রশ্বাস এর কাজে ভুমিকা রাখে। ফুসফুস বাতাস থেকে প্রাণীদের জন্য বাতাস থেকে অক্সিজেন শ্বাস এর মাধ্যমে গ্রহন করে আর প্রাণীদের শরীর থেকে ক্ষতিকর কার্বন-অক্সাইড নিশ্বাস এর মাধ্যমে বাতাসে ছেড়ে দেয়। 

ধূমপান মানুষ এর জীবন কে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। বর্তমান সময় এ অনেক ছোট বয়স এর ছেলে মেয়েদের থেকে শুরু করে বৃদ্ধ মানুষ পর্যন্ত ধূমপান করে থাকে।ধূমপান এর মাধ্যমে মানব শরীরে ব্যপক ক্ষতি হয়ে থাকে।ধূমপান এর সবচেয়ে বড় ভয় হলো ক্যান্সার। বর্তমানে সকল রোগের ওষুধ থাকলেও ক্যান্সার এর কোন ওষুধ নেই। 

ধূমপান কে এখনকার যুবক রা ফ্যশন এর রূপ দিয়েছে। ধূমপান এর কারনে মানুষ ৩০ বয়স এর পর থেকে দুর্বল হয়ে পরে। ধূমপান এর কারনে শুধু ক্ষতি হয়ে থাকে। এখন শুধু সিগারেট না মানুষ জন বিভিন্ন তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার করে ধূমপান করে থাকে। ধূমপান এর কারনে স্বাস্থ্যের ক্ষতি ছাড়া কখন ভাল কিছু হবে না।

ধূমপান এর অপকারিতাঃ

ধূমপান একটি মারাত্মক সমস্যা। ধূমপান এর কারনে মানুষ এর ফুসফুস কালো হয়ে নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে মানুষ কে বাচানো তখন সম্ভব হয় না।ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান এর অপকারিতা সম্পর্কে নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো-
  • ধূমপান এর কারনে মানুষ এর শরীরে ক্যান্সার হতে পারে।আমরা জানি ক্যান্সার এর ভালো কোন চিকিৎসা নেই।ক্যান্সার মানুষ এর মৃত্যু নিয়ে আসে।
  • ধূমপান এর কারনে মানুষ এর হার্ট-অ্যাটাক হয়ে থাকে। হার্ট-অ্যাটাক মানুষ এর মৃত্যুর আর একটি বড় কারন।
  • ধুমপান এর কারনে মানুষ এর কর্মদক্ষতার শক্তি হ্রাস পায়,মানুষ দুর্বল হয়ে পরে।
  • ধূমপান এর কারনে মানুষ এর হায়াত কমে যায় অর্থাৎ মৃত্যু এগিয়ে আসে।
  • ধূমপান এর কারনে মানুষ এর যৌন ক্ষমতা হ্রাস পেয়ে থাকে।
  • ধূমপান রক্ত চলাচল এর গতি কমিয়ে দেয়। এর ফলে মস্তিস্কে রক্ত চলাচল ঠিক থাকে না।
  • ধূমপান এর কারনে ফুসফুস কালো হয়ে নষ্ট হয়ে যায় যার ফলে মৃত্যু সংনিকতে চলে আসে।
  • ধূমপান এর ধোঁয়া চোখের ক্ষতি করে থাকে যার ফলে ধূমপান এর কারনে চোখের দৃষ্টি চলে যেতে পারে।
  • যাদের ডায়াবেটিস নেই তাদের ধূমপান এর মাধ্যমে শরীর এ ডায়াবেটিস হতে পারে।
  • ধুমপানের কারনে মানুষ এর পেটের ক্ষতি হয়ে থাকে। পেট ব্যথা থেকে শুরু করে নানারকম সমস্যা হতে পারে।
  • ধুমপান কারনে মানুষ এর ঠোঁট কালো বর্ণের হয়ে যায় যা দেখতে খুবই বাজে লাগে।
  • ধুমপান এরকারনে মানুষ এর গলায় ব্যপক ব্যথা হতে পারে।
  • ধূমপান এর কারনে সরদি-কাশি পর্যন্ত হতে পারে।
  • ধূমপান এর কারনে মানুষ এর হৃদরোগ এর মাধ্যমে শেষ নিশ্বাস অর্থাৎ মৃত্যুর আশঙ্কা অনেকটা বেড়ে যায়।
  • ধূমপান এর কারনে মানুষ এর মানসিক সমস্যা হয়ে থাকে। ইত্যাদি।
উপরক্ত পয়েন্ট গুলোতে আমরা ধুমপান এর মাধ্যমে যেগুলো অপকারিতা হয় সেটি সম্পর্কে জানলাম। এবার আমরা জানবো ধূমপান প্রতিরোধ এর উপায়।

ধূমপান প্রতিরোধঃ

যে জিনিস আমাদের মূল্যবান জীবনটাকে শেষ করে তা থেকে নিজেকে ছড়িয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমান এর কাজ। ধুমপানের কারনে শুধু টাকার না টাকার সাথে সাথে শরীরেরও ক্ষতি। ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপান প্রতিরোধ কিংবা ধূমপান ছাড়ার নিয়ম নিচে দেওয়া হলো-
  • আজ নয় কাল নয় পরশু না করে আজ বরং এইমাত্র সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে। কাছে কোন সিগারেট কিংবা কোন প্রকার তামাকজাত দ্রব্য রাখা যাবে না।
  • ২৪ ঘণ্টা সিগারেট না খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখুন তারপর ৪৮ ঘণ্টা ৭২ ঘণ্টা আসতে আসতে সিগারেট না খাওয়ার সময়টা বাড়াতে থাকুন। এই সময় আপনার অনেক কষ্ট হবে কিন্তু আপনি ধূমপান এর ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবেন।
  • যারা ধূমপান করে তাদের সাথে আড্ডা দেওয়া কমায় ফেলুন।
  • যারা ধূমপান ছেড়ে দিয়ে এখন অনেক ভালআছে তাদের কাছে জান এবং তাদের দেওয়া নিয়ম-কানুন মতন চলুন।
  • ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করলে আপনারা চুইংগ্রাম কিংবা আদা মুখে দিয়ে চিবোতে থাকবেন।
  • আপনি সচারচল যে সময় সময় ধূমপান করে থাকেন সেই সময়টুকুতে অন্য কাজে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখুন।
  • যেগুলো যায়গায় ধূমপান করা হয় এসব জায়গা থেকে নিজেকে ১০০ হাত দূরে রাখবেন।
  • সাস্থের ভালো মন্দ সম্পর্কে বেশি বেশি জানার আগ্রহি করুন শিখুন।
  • সিগারেট যদি ছাড়তে কষ্ট হয় তাহলে চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী চলাফেরা করুন।

সিগারেট ছাড়তে কতদিন সময় লাগেঃ

যারা সিগারেট অর্থাৎ ধূমপান করে তাদের কাছে ধূমপান ছেড়ে দেওয়া এতটা সহজ না। অনেকে বলে আর ধূমপান করবো না, এইতো আজকাল এর মদ্ধেই ছেড়ে দিবো কিন্তু তারা পারে না। ধূমপান মানুষ দের কে আকর্ষণ করে রাখে। যদি ধূমপান করা ব্যক্তি ধূমপান বন্ধ করে তাহলে সেই ব্যক্তি ছটফট করা শুরু করে দেয়। 

প্রতিদিন ধূমপান করার ফলে শরীর সেই ধূমপান করাটাকে পুষিয়ে নেই যার ফলে ধূমপান ছেড়ে দিলে মানুষ অসস্তি বোধ করা শুরু করে। ধূমপানের এই অসস্তি কাটাতে কমপক্ষে ৪দিন সময় লাগে তারপর কয়েকমাস এর মধ্যে ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা সফলতার রূপ নেয়। এই সময় মানুষ এর শরীর থেকে হরমন নিঃসরণ হয় এবং তা ধিরে ধিরে স্বাভাবিক রুপে চলে আসে।ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর যা থেকে আমাদের সদা বিরত থাকতে হবে।

ধূমপান ছাড়ার উপকারিতাঃ

ধূমপানের কারণে মানুষের শরীরে ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। যারা ধূমপান করে তারা বিভিন্ন রোগে ভুগতে থাকেন। যারা ধূমপান করে তারা যদি ধূমপান ছেড়ে দেয় তাহলে এর ফলে শরীরে অনেক উপকার হবে। নিচে ধূমপান ছাড়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেওয়া হলো-
  • যারা ধূমপান করে তারা দিনে বা রাতে বিভিন্ন সময় ধূমপান করে থাকে। যদি কোন মানুষ মাত্র ২০ মিনিট ধূমপান থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখে তাহলে এই ২০ মিনিটের ব্যবধানে শরীরের রক্তচাপ এবং নারীর গতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
  • ধূমপান ছাড়ার ফলে শরীরের নার্ভ সিস্টেম কমে আসবে। এর ফলে শরীরের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
  • ধুমপান করার মাধ্যমে যেগুলো বিষাক্ত গ্যাস আমাদের শরীরের মধ্যে প্রবেশ করে তা ১২ ঘণ্টা সিগারেট থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখলে,সেগুলো গ্যাস আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যাবে। এর ফলে আমাদের শরীর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে।
  • যারা ধূমপান করে তাদের অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা দেয় অর্থাৎ তাদের শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা হয়ে থাকে। আমরা যদি ধূমপান ছেড়ে দিই,তাহলে আমাদের শরীরের অক্সিজেনের মাত্রা ঠিক থাকবে। এর ফলে শরীরের রক্ত চলাচলে অক্সিজেনের ঘাটতি হবে না।
  • যারা ধূমপান করে তাদের ঘ্রান ও কোন জিনিস এর স্বাদ নেওয়ার শক্তি চলে যায়। ফলে সিগারেট ছেড়ে দিলে তারা সিগারেট ছাড়ার ২য় দিন হতেছি যেকোনো জিনিসের ঘ্রান ও স্বাদ পুনরায় নিতে সক্ষম হয়।
  • এরপর সিগারেট ছাড়া তৃতীয় দিন হতে শরীরের ভিতরে অর্থাৎ বুকের ভেতরটা অনেক হালকা হয়ে যায়।
  • ধূমপান ছাড়ার কয়েক মাস পর থেকে শরীরের রক্ত চলাচল বেড়ে যায় এর ফলে শরীরে রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি হতে থাকে। এরপর সিগারেট খাওয়ার ফলে ফুসফুসের যে ক্ষতি হয়েছে তা এই কয়েক মাসের মধ্যে অনেকটা নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে পারে। যার কারণে ফুসফুস আগের তুলনায় 30 ভাগ বেশি অক্সিজেন আমাদের শরীরে গ্রহণ করতে পারে।
  • সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিলে ছেড়ে দিলে এক বছর পর শরীরের হৃদ রোগের ঝুকি কমে যায়। এর ফলে কমপক্ষে ১০ বছর পর মানুষের শরীরে ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে যায়।
  • ধূমপান ছাড়ার ফলে কাশি,শ্বাসকষ্টের মতন রোগগুলো কমে যায়। ফলে কাশি বা শ্বাসকষ্টের কারণে মানুষের আর কষ্ট পেতে হয় না।

কোন সিগারেট খেলে ক্ষতি হয় নাঃ

সিগারেট তামাক দিয়ে তৈরি হয়। সিগারেট খাওয়ার মাধ্যমে এর ভেতরে থাকা নিকোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। যার কারণে আমাদের ফুসফুস নষ্ট হয়ে থাকে। যারা নিয়মিত ধূমপান করে তাদের হৃদরোগ এবং ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমরা কখনো বলতে পারব না কোন সিগারেট খেলে ক্ষতি হবে না।

কারণ সকল সিগারেটের মধ্যেই তামাক দেওয়া হয়। এই তামাকের কারণেই মানুষ সিগারেটের প্রতি বেশি আসক্ত হয়ে পড়ে। সিগারেট যেহেতু আমাদের ক্ষতি করে থাকে এর ফলে আমাদের উচিত সিগারেট থেকে নিজেকে বিরত রাখা। সিগারেট অর্থাৎ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর।

শেষ কথাঃ

যে জিনিস আমাদের শরীরের ক্ষতি করবে তা থেকে আমাদের অবশ্যই দূরে থাকা উচিত। ধূমপানের কারণে কখনো মানুষের উপকার হয় না বরং ধূমপান মানুষের মৃত্যু নিয়ে আসে। ধূমপানের মাধ্যমে নিকোটিন আমাদের শরীরে প্রবেশ করে আমাদেরকে পঙ্গু করে দেয়। অর্থাৎ আমাদেরকে মানসিকভাবে দুর্বল করে দেয়। আমাদের উচিত তামাকজাত দ্রব্য কে বয়কট করা।

প্রিয় পাঠক যদি আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনি আপনাদের বন্ধু বান্ধব এর সাথে পোস্টটি শেয়ার করে পাশে থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url