অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

আপনি কি অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। গরম থেকে বাঁচার অনেক উপায় রয়েছে এগুলো যদি আমরা নিয়মিত পালন করি তাহলে অতিরিক্ত গরম থেকে নিজেদেরকে বাঁচাতে সক্ষম হবো।


এছাড়াও আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন? অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়? শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত? এবং শরীর গরম কিন্তু জ্বর নেই এসব বিষয় বিস্তারিত জানতে পারবো। সকল তথ্য জানতে আমাদের এই পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইলো।

ভূমিকাঃ

আমরা আমাদের দেশে মূলত শীতকাল এবং গরমকাল পেয়ে থাকে। শীতকালে তাপমাত্রা নিচে নেমে যায় ফলে আমরা ঠান্ডা অনুভব করি এবং গরমকালে তাপমাত্রা অতিমাত্রায় বেড়ে যাওয়ার ফলে আমরা গরম অনুভব করি। শীতকালে ঠান্ডা লাগলেও গরমকালকে মানুষ বেশি অপছন্দ করে থাকে। এই সময় মানুষের মেজাজ খুবই খিটখিটে স্বভাবে থাকে। 

অতিরিক্ত গরম মানুষকে অসুস্থ করে ফেলে। অতিরিক্ত গরম মানুষকে অলস করে ফেলে ফলে তারা যে কোন কাজ করতে ব্যর্থ হয়ে যায়। এই সময় মানুষের সমস্যার কোন সীমা থাকে না কারণ এই সময় মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এসব রোগ থেকে বাঁচতে হলে আগে আমাদেরকে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে যা আমরা নিচে বিস্তারিত জানতে পারবো।

মেয়েদের শরীর গরম থাকে কেন?

মেয়েদের শরীর পুরুষ এর তুলনায় অনেক নরম হয়ে থাকে। মেয়েদের পেশির ভর অনেক কম থাকায় এদের ত্বকের ছিদ্রগুলো থেকে কম পরিমাণ এর তাপ উৎপন্ন হয়ে থাকে ফলে তারা পুরুষ এর তুলনায় বেশি ঠাণ্ডা অনুভব করতে পারে। কিন্তু অনেক সময় মেয়েরা পুরুষ এর তুলনায় অধিক গরম অনুভব করে থাকে। আসলে এটি মূলত নির্দিষ্ট হরমোন জনিত কারনে হয়ে থাকে। 

মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ কুমারী মেয়েদের শরীর গরম থাকে। এটি মূলত মেয়েদের ঋতুস্রাব এর কারনে হয়ে থাকে। তাছাড়াও একজন মহিলা যখন গর্ভধারণ করে তখন সেই মহিলা তার সাথে তার পেটে একটি শিশু সন্তানও বহন করে থাকে যার ফলে এই সময় অনেক মেয়ের শরীর গরম হয়ে থাকে।

কারন এই সময় সেই মহিলার শরীর এর সকল অঙ্গ স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি কাজ করে থাকে। আবার যেসব মেয়েদের ডায়াবেটিস, মানসিক সমস্যা কিংবা কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে গরম বেশি লাগে। তবে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় রয়েছে যা আমরা নিচে বিস্তারিত জানতে পারবো।

অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায়ঃ

গরম কার ভালো লাগে বলুন? আসলে গরম কেউ সহ্য করতে পারে না। গরম এর সময় মানুষ এর মেজাজ থাকে খিটখিটে। যেকোনো কাজে খুব অলসতা চলে আসে। তাছাড়াও গরম এর সময় অতিরিক্ত গরমে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এখন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জেনে নিন-
  • অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে হলে আমাদের কে তেল যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। কোন প্রকার ভাজা পোড়া, তেলযুক্ত মাংস কিংবা অধিক মাত্রায় গরুর মাংস খাওয়া, বিরিয়ানি এসব খাবার হতে ১০০ হাত দূরে থাকাই ভালো। এসব খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে বেশি গরম লাগে।
  • গরম কালে অতিরিক্ত গরম এর কারনে মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়। এই সময় মানুষ এর শরীর দিয়ে অনেক ঘাম ঝরতে থাকে ফলে মানুষ এর শরীর এর পানি শূন্যতা দেখা দেয়। এই সময় গরম থেকে বাঁচতে হলে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে।
  • অতিরিক্ত গরম এর কারনে শরীর দিয়ে ঘামের মাধ্যমে লবন বেরিয়ে যায়। এই সময় আমাদের কে বেশি করে খাবার স্যালাইন খেতে হবে। যেমন- ট্যাঁসটি স্যালাইন।
  • যদি অতিরিক্ত গরম এর সম্মুখিন হয় তাহলে এই সময় টোটালি গরু,ছাগল,মহিষ ইত্যাদি রেড মাংস খাওয়া যাবে না। যদি খাওয়া হয় তাহলে গরম তীব্রতা আরও বেড়ে যাবে।
  • যদি অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে চাই তাহলে টক জাতীয় ফল বেশি করে খেতে হবে। টক জাতীয় ফল খেলে গরম এর সময় স্বস্তি পাওয়া যায় তবে অতিরিক্ত টক ফল খাওয়া যাবে না। এই সময় লেবুর শরবত এক দুই গ্লাস খেতে পারেন।
  • আবার যদি অতিরিক্ত গরম হতে নিজেকে রক্ষা করতে চান তাহলে টক দই হতে পারে একটি উত্তম মাধ্যম। টক দই খাওয়ার ফলে গরম এর তীব্রতা অনেকটা কম লাগে।
  • যদি বাহিরে বেশি কাজ না থাকে তাহলে আন্দাজে বাহিরে বেশি না থেকে ঘরে অবস্তান করাই ভালো এতে গরম কম লাগবে।
  • আবার বাহিরে যদি বেশি কাজ থাকে তাহলে একটি ছাতা কাছে রাখা বুদ্ধিমান এর কাজ হবে। বাহিরে ছাতা ব্যবহার করলে রোদের তাপ হতে নিজেকে রক্ষা করা যাবে।
  • নিয়মিত গোসল করার মাধ্যমে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে। নিয়মিত গোসল করলে শরীর এ ঠাণ্ডা অনুভব হয় ফলে গরম এর সময় শরীর তাজা অর্থাৎ ফ্রেশ লাগে।
  • গরম এর সময় কখন মোটা কাপড় পরা যাবে না এর ফলে গরম বেশি লাগে। তাহলে এই সময় আমাদের কে গরম থেকে বাচাতে পারে একমাত্র নরম পাতলা সুতি কাপড়। গরম এর সময় সুতি কাপড় পরাই উত্তম।
  • গরম এর সময় চা, সিগারেট কিংবা আলকোহল খাওয়ার ফলে অতিরিক্ত গরম লাগে তাই এই সময় এগুলো খাওয়া থেকে দূরে থাকাই ভালো।
  • আমরা যদি নিজদের শরীর কে গরম থেকে বাচাতে চাই তাহলে নিয়মিত শারিরিক ব্যায়াম কম করতে হবে। আমরা যদি বেশি মাত্রায় ব্যায়াম করে থাকি তাহলে আমাদের বেশি গরম লাগবে।
এগুলো মূলত সকল কিছু অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় ছিল যা আমাদেরকে অবশ্যই পালন করতে হবে নিজের জন্য এবং নিজের পরিবারের জন্য

অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয়ঃ

অতিরিক্ত গরমের কারণে নানা রকম সমস্যা হয়ে থাকে। তবে আমরা যদি অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় গুলো সঠিকভাবে মেনে চলি তাহলে অতিরিক্ত গরমে যেসব সমস্যা হয় সে সব থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবো। এখন আমরা অতিরিক্ত গরমে কি কি সমস্যা হয় সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো-
  • যদি কখনো অতিরিক্ত গরম লাগে তাহলে সে ক্ষেত্রে শরীরে তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
  • অতিরিক্ত গরমের ফলে মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা হয়ে থাকে। কখনো এই শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তাহলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হয়ে থাকে।
  • অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের মেজাজ খিটখিতে হয়ে যায়। এই সময় মানুষ বিভিন্ন উল্টাপাল্টা ব্যবহার করা শুরু করে। এই সময় মানুষের বিভিন্ন বিভ্রান্তি শুরু হয়।
  • অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের মাংসপেশী দুর্বল হয়ে পরে। দুর্বল অনুভব করার ফলে তারা কোন কাজ সঠিকভাবে করতে পারে না। তাদের মধ্যে অলসতা চলে আসে।
  • অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের মাথাব্যথা সহজ শরীর ব্যথা করে।
  • অতিরিক্ত গরমের ফলে মানুষের ডিহাইড্রেশনের সমস্যা বেড়ে যায় হলে তারা বিভিন্ন সময় মাথা ঘুরে পরে যায়।
  • অতিরিক্ত গরমের ফলে মানুষের আবার ঘন ঘন বমি ভাব শুরু হয়। অনেক সময় বমি আটকাতে না পেরে যেকোনো সময় যে কোন জায়গায় বমি করে ফেলতে পারে।
  • অতিরিক্ত গরমের ফলে মানুষের শরীরে পানি শূন্যতা দেখা যায়। পানি শূন্যতা একটি ভয়াবহ রোগ। গরমের সময় অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের শরীরে ঘাম হয় যে ঘাম দ্বারা মানুষের শরীর থেকে অনেক পানি বের হয়ে যায়। ফলে মানুষের শরীরে পানির ঘাটতি দেখা যায়। এটি মূলত পানি শূন্যতার মূল কারণ।
  • অতিরিক্ত গরমের কারণে মানুষের হিট স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোক করে মারা গিয়েছে।
  • অতিরিক্ত গরমের ফলে মানুষের শরীর দুর্বলতা পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের ঝুঁকি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ঘুম হলো মানুষের স্বাস্থ্য ভালো রাখার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ফলে মানুষের ঘুম হারাম হয়ে যায়। অতীত তো গরমের কারণে মানুষ সঠিক টাইমে ঘুমাতে পারে না কিংবা ঘুমালেও তা বেশিক্ষণ থাকতে পারে না।

শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিতঃ

অতিরিক্ত গরমের কারণে শরীর গরম হয় আবার অনেক কারণও শরীর গরম হয়ে থাকে যেমন অনেক সময় অতিরিক্ত জ্বর হলেও মানুষ এর শরীর গরম হয়ে থাকে। যদি আমাদের শরীর গরম হয়ে থাকে তাহলে এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে আমাদের শরীর ঠান্ডা হবে আবার অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় গুলোকে আমরা যদি মেনে চলি তাহলে গরমের হাত থেকেও নিজেদের শরীর কে রক্ষা করতে সক্ষম হতে পারবো। এখন আমরা জানবো শরীর গরম হলে কি খাওয়া উচিত-
  • আমরা যদি শরীর গরম হতে বাঁচতে চাই কিংবা শরীর গরম থেকে ঠান্ডা করতে চাই তাহলে টক দই এর মতন উপকারী খাবার খুবই কম রয়েছে। টক দই খাওয়ার ফলে শরীরেরঅনেক উপকার হয়।
  • শরীর গরম হলে তা ঠান্ডা করার জন্য প্রথমত শসা হতে পারে এটি উত্তম মাধ্যম। শসাতে প্রচুর পানি থাকার কারণে এটি শরীরের পানি শূন্যতা অভাব দূর করার পাশাপাশি শরীর ঠান্ডা করতে বেশি সক্ষম। এর ফলে শরীরের অলসতা দূর হয়ে থাকে।
  • আমরা যদি পুদিনা পাতার চাপ নেই কিংবা পুদিনার শরবত অথবা বোরহানি খেয়ে থাকি তাহলে এগুলোর মাধ্যমে আমাদের শরীর ঠান্ডা হয়ে থাকবে। এসব খাবারের পাশাপাশি আবার পুদিনা পাতার চা এবং জিরা পানি শরীর ঠান্ডা রাখতে ভালো ভূমিকা পালন করে।
  • আমরা জানি তরমুজে প্রায় ৯২ শতাংশ পানি থাকে। আমরা যদি আমাদের শরীরকে ঠান্ডা করতে চাই তাহলে তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর ঠান্ডা হবে তাছাড়াও তরমুজ খাওয়ার ফলে আমাদের তো এবং চুল সুন্দর হবে।
  • টমেটো এমন একটি সবজি যার উপকারিতা শেষ নেই। টমেটো নিয়মিত খাওয়ার ফলে যেমন শরীক ঠান্ডা থাকে তেমন আবার টমেটোর খাওয়ার ফলে আমাদের দৃষ্টিশক্তি উন্নত হওয়ার পাশাপাশি আমাদের টেনশন এবং আমাদের শরীর হতে ক্যান্সারের আসংখ্যা কমে যাবে।
  • প্রাকৃতিক ইলেকট্রোলাইটস দিয়ে ভরপুর থাকে। ডাব এমন একটি পানি জাতীয় ফল যার মাধ্যমে শরীরে প্রচুর শক্তি বৃদ্ধি হয়। গরমের সময় ডাব খুবই উপকারী একটি ফল যা খেলে শরীর মন ভালো থাকার পাশাপাশি শরীরের ভেতরটা অনেক ঠান্ডা থাকে।

শরীর গরম কিন্তু জ্বর নেইঃ

আমরা জানি সাধারণত শরীরের জ্বর আসলে শরীর গরম হয়ে থাকে। কিন্তু এমন অনেক সময় লক্ষ্য করা যায় যে শরীর গরম আছে কিন্তু জ্বর নেই। আসলে এমনটি কেন হয় তা কি জানতে চান? তারা চলুন জেনে নেওয়া যাক শরীর গরম কিন্তু নেই এর মূলত কারণ কি?মানুষের শরীরে জ্বর ছাড়াও মানুষের শরীর গরম হতে পারে। 

বিভিন্ন ওষুধ সেবন করার মাধ্যমে কিংবা হরমোন জনিত কারণে, পরিবেশগত কারনে,জীবনধারার কারনে,ডায়াবেটিস,হাইপারথাইরয়েডিজম,মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (এমএস), ইত্যাদি কারণে মানুষের শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি হতে থাকে। অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় কিন্তু রয়েছে যা আমরা উপরে জানতে পেরেছি। এগুলো উপায় আমাদেরকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে।

এর ফলে মানুষের শরীরে জ্বর না আসলেও মানুষের শরীর গরম হয়ে থাকে। এই সমস্যাগুলোর কারণে যদি মানুষের শরীর গরম হয় তাহলে সেই সময় মানুষ অতিরিক্ত ঘামতে পারে আবার নাও ঘামতে পারে।

লেখকের শেষ কথাঃ

আমরা এতক্ষন অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার উপায় এর পাশাপাশি অনেক কিছু জানতে পারলাম। গরমকালে আমাদের কে অবশ্যই সচেতনতা ভাবে চলাফেরা করতে হবে। অতিরিক্ত গরম আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। গরমের সময় আমাদেরকে অবশ্যই নিজেদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।

আমাদের পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে পাশে থাকবেন। আপনাদের সাপোর্ট আমাদেরকে অনুপ্রেরিত করবে সঠিক তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url