শরীর সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।

আপনারা কি শরীর সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে আপনি উপযুক্ত জায়গায় এসেছেন।আপনি এখানে শরীর সুস্থ  রিলেটেড অনেক কিছুই জানতে পারবেন।


শরীর সুস্থ রাখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো সঠিক খাবার খাওয়া, নিয়মিত ঘুমানো এবং নিজের শরীর চর্চা করা। মানুষের শরীর সুস্থ থাকলে মানুষ যে কোন কাজ মন দিয়ে করতে সক্ষম হয়।

ভূমিকাঃ

শরীর ও মন সুস্থ মানুষ না থাকলে মানুষ কোন কাজে মন দিতে পারে না। তাদের মধ্যে সবসময় ক্লান্তিহীনতা কিংবা অলসতা থেকে যায়। তারা যে কোনো কাজ করতে অল্পতেই হার মানে। তবে শরীর সুস্থ রাখার বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আমরা যদি শরীর সুস্থ রাখার উপায় সমূহ মেনে চলি তাহলে শরীরের পাশাপাশি আমাদের মনও সুস্থ থাকবে। 

শরীর সুস্থ থাকলে আমরা যে কোন কাজ সঠিকভাবে করতে সক্ষম হবে। আমরা যেকোনো কাজ করতে শক্তি পাবো। শরীর সুস্থ রাখতে আমাদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন খাবার খাওয়া উচিত। বর্তমান এই পৃথিবীতে মূলত পুরস্কার সবচেয়ে বেশি কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। এই পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের মেধা এবং শ্রম দুটোই খরচ হয় যার কারণে তারা অনেক দুর্বল বোধ করে। আমাদেরকে সব সময় শরীর সুস্থ রাখার চেষ্টা করে যেতে হবে। 

শরীর ও মন সুস্থ থাকলে মানুষ কখনো হার মানে না। শরীর অসুস্থ থাকলে বিভিন্ন লক্ষণ সামনে পরে। যেমন মাথাব্যথা থেকে শুরু করে বমি বমি ইত্যাদি। শরীর সুস্থ রাখার অনেক খাবার রয়েছে যা আমাদের কে অবশ্যই খাবার তালিকায় রাখা উচিত। নিচে শরীর সুস্থ রাখার উপায় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জেনে নিন।

শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণঃ

শরীর বিভিন্ন কারনে দুর্বল হয়ে যেতে পারে তবে এই শরীর সুস্থ রাখার উপায় সমূহ গুলো যদি আমারা মেনে চলি তাহলে আমারা সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবো। শরীর দুর্বল হওয়ার লক্ষণ সমূহ নিচে দেওয়া হলো-
  • হাঁটাচলা করতে সমস্যা হওয়া,
  • কোন কিছু খেতে অনিচ্ছা কিংবা ভালো না লাগা,
  • শ্বাস-প্রশ্বাস এ সমস্যা হওয়া,
  • যেকোনো কাজ করতে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।
  • শরীর এর বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা অনুভব করা।
  • মাথা ব্যথা করা,
  • ঘন ঘন বমি হওয়া কিংবা বমি বমি ভাব হওয়া,
  • অলসতা বোধ কাজ করা,ইত্যাদি।

শরীর সুস্থ রাখার উপায়ঃ

আমাদের শরীর বিভিন্ন কারণে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। শরীর সুস্থ না থাকলে কোন কিছুই ভালো লাগেনা। যে কোন কাজ করতে অস্বস্তি বোধ হয়। শরীর সুস্থ রাখার কয়েকটি উপায় নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। যেমন,
  • নিয়মিত শরীর চর্চা অর্থাৎ ব্যায়াম করা। ব্যায়াম মানুষের দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাছাড়াও ব্যায়াম করার মাধ্যমে মানুষের শরীরের রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে এবং কোলেস্টরেল এর মাত্রা কমায়। নিয়মিত ব্যায়াম করার মাধ্যমে শরীরের চর্বি কমে যায়। তাছাড়াও শরীরের হাড় মজবুত করতে ভূমিকা রাখে। এর ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
  • নিয়মিত আমাদেরকে ভালো খাবার খাওয়া উচিত। নিয়মিত আমাদের কে শাক-সবজি এবং ভিটামিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। যে খাবার রে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব রয়েছে সেগুলো খাবার বর্জন করতে হবে। এক কথায় ভেজালমুক্ত খাবার খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • নিয়মিত পানি পান করার মাধ্যমে শরীরের ডিটক্সিফাই, হজম শক্তি বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, শরীরের বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে। আমাদেরকে অবশ্যই প্রতিদিন বেশি করে পানি পান করা উচিত। শুধু যে সাদা পানি খাবেন তা নয়, আপনি নিয়মিত ডাবের পানি কিংবা বিভিন্ন ফলের রসও খেতে পারেন।
  • নিয়মিত মেডিটেশন করা উচিত। এর ফলে শরীরের মানসিক চাপ কমে যায় এবং বিভিন্ন কাজে মনোযোগ বসানো যায়।
  • আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ রয়েছে যারা বছরের পর বছর পেরিয়ে গেলেও ডাক্তারের কাছে যায় না। কিন্তু শরীর সুস্থ রাখার জন্য মাঝে মধ্যে ডাক্তারের কাছে যেয়ে নিজের শরীরের পরীক্ষা নিরীক্ষা করা উচিত। এর ফলে শরীরে বিভিন্ন রোগ হতে সচেতন থাকা যাবে।
  • মানুষের বয়স অনুযায়ী এবং মানুষের উচ্চতা অনুযায়ী তার ওজন নির্ধারণ করা থাকে। আমাদেরকে সেই অনুযায়ী শরীর এর ওজন মেন্টেন করা উচিত।তাছাড়াও শরীর সুস্থ রাখার উপায় সমূহ কে আমাদেরকে নিয়মিত পালন করা উচিত।
  • শরীর সুস্থ রাখার ভালো মাধ্যম হলো ঘুম। অনেক সময় আমরা সঠিক সময়ে ঘুমোতে পারি না যার ফলে আমাদের শরীরের ক্ষতি হয়ে থাকে অর্থাৎ আমরা অসুস্থ হয়ে পরি। তাই আমাদেরকে রাতে ভালোভাবে ঘুমোতে হবে। ঘুমকে কখনো অবহেলা করা যাবে না। ঘুম মানুষকে সুস্থ রাখার উত্তম একটি মাধ্যম।
  • অ্যালকোহল পান করার মাধ্যমে আমাদের শরীরের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে থাকে। অ্যালকোহল পান করার ফলে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। অ্যালকোহল পান করার মাধ্যমে আমাদের হৃদপিণ্ড এবং ফুসফুসের গতি অস্বাভাবিক মাত্রায় চলে যায়। যদি আমরা করি সুস্থ রাখতে চাই তাহলে আমাদেরকে অবশ্যই অ্যালকোহল পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • বর্তমান যুব সমাজে ধূমপান একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এটি ভুলে যাওয়া যাবে না যে ধুম-পান হল ক্যান্সারের হাতিয়ার। ধূমপান এর কারণে শরীরে ক্যান্সার হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। আমাদের উচিত সকল প্রকার তামাক জাতীয় জিনিস থেকে নিজেকে দূরে রাখার।
  • আমরা বাহিরে প্রতিদিন বিভিন্ন খাবার খেয়ে থাকি। বাহিরে রান্না করা এসব খাবার কখনো ভালো পরিবেশে কিংবা ভালো করে রান্নাবান্না করা হয় না। এসব খাবারে অনেক ব্যাকটেরিয়া থেকে যায়। এগুলো খাবার খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে ফুড পয়েজিং থেকে শুরু করে বিভিন্ন রোগ হয়ে থাকে। আমাদেরকে সদা বাড়ির খাবার খাওয়া উচিত। কারন বাড়ির খাবার অনেক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে রান্না করা হয়।
  • আমরা গরমকালে বাহিরে বেশি সময় থাকবো না। বাইরে বের হলে ছাতা নিয়ে বের হবো। গরমকালে প্রচুর গরম থাকার কারণে মানুষ সূর্যের সংস্পর্শে আসলে শরীর দুর্বল হওয়া শুরু করে। মানুষের মধ্যে অস্বস্তি চলে আসে। আমাদের উচিত গরম কালে সূর্যের সংস্পর্শ হতে দূরে থাকা এবং সূর্যের তাপ থেকে রক্ষা পাওয়ার নিয়ম কানুন মেনে চলা।
  • শরীর ও মন সুস্থ রাখতে নিয়মিত গোসল করা উচিত। নিয়মিত গোসল করলে শরীর ও মন দুটোই ভালো থাকে।

ছেলেদের শরীর ফিট রাখার উপায়ঃ

শরীর সুস্থ রাখার উপায় সমূহের মধ্যে ছেলেদের শরীর ফিট রাখারও উপায় রয়েছে।আমরা সবাই জানি ছেলেরা ডিন রাত প্রচুর মেহনত করে থাকে তাদের পরিবার প্রিয়জন মানুষ এর জন্য।একটা পুরুষ মানুষ মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তাদের প্রিয় মানুষ এর মুখে হাঁসি দেখার জন্য। পুরুষ এর এত কষ্টের ফলে তাদের শরীর প্রায় অসুস্থ থাকে কিন্তু তারা তা বুঝতে দেয় না।ছেলেদের শরীর সুস্থ রাখার উপায় সমূহ নিচে দেওয়া হলো-
  • প্রথমত ছেলেদের কে নিয়মিত শরীর চর্চা করা উচিত।
  • ভেজাল মুক্ত খাবার খাওয়া উচিত।
  • শরীরের চর্বি বৃদ্ধি করে এমন খাবার থেকে সাদা দূরে থাকা উচিত।
  • লবণ যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
  • ফাস্ট ফূড খাবার খাওয়া যাবে না।
  • অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • নিয়মিত ঘুমাতে হবে।ইত্যাদি।
  • শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়ঃ
  • শরীর সুস্থ রাখার উপায় সমূহ এর মধ্যে সঠিক খাবার খাওয়াও একটি উপায় এর মধ্যে পরে। আমরা প্রতিদিন শরীর সুস্থ রাখার জন্য বিভিন্ন উপায় মেনে চলি। শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হবে বা কি খাওয়া উচিত তার নিচে দেওয়া হলো।
  • দুধে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। শরীর সুস্থ রাখতে আমাদেরকে প্রতিদিন দুধ খাওয়া উচিত।
  • আমরা জানি ফলিক এসিড, প্রোটিন-ভিটামিন, আইরন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিংক ইত্যাদিতে ভরপুর ডিম। আমরা যদি নিয়মিত ডিম খাই তাহলে শরীর সুস্থ রাখতে পারবো।
  • শরীর দুর্বল হলে আরেকটি গুণসম্পন্ন খাবার হলো কাজুবাদাম।
  • কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও মিনারেলস যা শরীর সুস্থ রাখতে ভূমিকায় রাখে। আমাদেরকে প্রতিদিন একটি হলেও কলা খাওয়া উচিত।
  • শরীর এর দুর্বলতা কাটানোর আরেকটি উদাহরণ হলো সবজি। আমাদেরকে নিয়মিত কচু শাক, পালং শাক, আলু- গাজর, মিষ্টি কুমড়া ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
  • শরীর দুর্বল মনে হলে ডাবের পানি একটি উত্তম মাধ্যম হতে পারে শরীর সুস্থ করতে। যাবে পানিতে থাকা ভিটামিন শরীর সুস্থ করতে ভূমিকা রাখে।
  • গরমকালে প্রচুর গরম এর কারনে শরীর খুব তাড়াতাড়ি দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই গরমের সময় বেশি বেশি করে স্যালাইন পানি খাওয়া উচিত।
  • উপরে উল্লেখিত খাবার গুলো ছাড়াও বিভিন্ন ফল যেমন আপেল, কমলা, ড্রাগন ফল ইত্যাদি শরীর সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে।

কোন রোগ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায়ঃ

আমাদের শরীর বিভিন্ন রোগের কারনে দুর্বল হয়ে পরে। যেসব রোগ হলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে যায় তা হলো-
  • ক্রনিক ফ্যাটিগ সিনড্রোম,
  • অ্যানিমিয়া,
  • অ্যাংজাইটি,
  • ডায়াবিটিস,
  • থাইরয়েড,
  • অবসাদ, ইত্যাদি।

শরীরে রক্ত বৃদ্ধির উপায়ঃ

ভিটামিন আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে ভুমিকা রাখে। আমাদের শরীরের ভিটামিনের ঘাটতি হলে আমাদের শরীর অসুস্থ হয়ে পরে। তাছাড়াও শরীরের রক্ত চলাচলের সমস্যা হলে কিংবা রক্তশূন্য তাহলে আমাদের শরীর দুর্বল হয়ে পরে। রক্তশূন্যতা হলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অক্সিজেন যেমন মানুষকে বেচে রাখতে সাহায্য করে তেমন রক্ত মানুষকে সুস্থ রাখতেও ভূমিকায় রাখে। 

শরীরের রক্ত বৃদ্ধির উপায় বলতে খাওয়া দাওয়া নিয়মিত করতে হবে।যেসব খাবার খেলে শরীরে রক্ত অর্থাৎ হিমোগ্লোবিং বৃদ্ধি হয় সেগুলো খাবার খেতে হবে।শরীর সুস্থ রাখার উপায় গুলোর মধ্যে শরীরের রক্তের পরিমাণ ঠিক রাখাটা বেশি প্রাধান্য দেওয়া উচিত। নিচে শরীরে রক্ত বৃদ্ধির উপায় দেওয়া হলো-
  • শরীরের রক্ত কি করতে হলে আমাদের কে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার গুলোর মধ্যে মাংস, ডিম, আলু, কচু, ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
  • ফলিক এসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। বাদাম,ডাল,তিলের বীজ এ প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড পাওয়া যায়।
  • ভিটামিন বি১২ যুক্ত খাবার খাওয়া যেতে পারে। ডিম গরুর মাংস এসব প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২ পাওয়া যায়।
  • প্রতিদিন বিভিন্ন প্রকার টক জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কারণ টক জাতীয় খাবারে ভিটামিন সি পাওয়া যায় যা রক্তবৃদ্ধিতে ভূমিকা থাকে। যেমন লেবু, টমেটো, তেতুল।
  • ফল মানুষের শরীরের লোহিত কণিকা বৃদ্ধি করে। আমাদের কে নিয়মিত কমলা,কলা,আঙ্গুর ইত্যাদি খাওয়া উচিত।
  • শরীরের রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে আমাদের কে প্রতিদিন সবুজ শাকসবজি হওয়া উচিত। সবুজ শাক-সবজিতে আয়রন প্রোটিন ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে।ইত্তাদি।

লেখকের শেষ কথাঃ

যে কোন কাজে সফলতা আনতে একটি মানুষের মূল হাতিয়ার হলো তার ইচ্ছা শক্তি এবং তার শরীরের সুস্থতা। মানুষের যদি শরীর সুস্থ থাকে তাহলে সেই মানুষটি যে কোন কঠিন কাজ করতে সক্ষম হবে। মানুষদেরকে সবসময় তাদের শরীরের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। শরীর যদি ঠিক থাকে তাহলে মানুষ অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবে। শরীর সুস্থ রাখতে আমাদের কে নিয়মিত ব্যায়াম করা, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া, সকলে সাথে ভালোভাবে মেলামেশা করা ইত্যাদি নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে।

পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে পাশে থাকবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url