অসুখ নিরাময়ে লবঙ্গ এবং লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা জেনে নিন বিস্তারিত

আপনারা কি অসুখ নিরাময়ে লবঙ্গ এবং লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। লবঙ্গ আমাদের অনেক উপকার করে থাকে।

লবঙ্গ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে আমাদের লেখা এই পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়তে থাকুন। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন।

ভূমিকাঃ

লবঙ্গ এমন একটি ফল যেতিকে আমরা মশলা হিসেবে চিনে থাকি। তবে লবঙ্গ আমাদের কে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে থাকে আমাদের শরীর সুস্থ রাখতে। লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা থাকার কারনে মানুষ বিভিন্ন ভাবে লবঙ্গ খেয়ে যাচ্ছে। লবঙ্গ খাবারে ব্যবহার করার মাধ্যমে খাবারের সাধ বৃদ্ধি করে থাকে। তাছারাও নিয়মিত লং বা লবঙ্গ খেলে এটি আমাদের কে বিভিন্ন রোগ হতে বাঁচাতে পারে। 

আমাদের নিয়মিত লবঙ্গ খেতে হবে অন্তত ২/৩ টি। লবঙ্গ আকারে ছোট। লবঙ্গ ইন্দোনেশিয়ায় প্রথম পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে লবঙ্গ সারা পৃথিবীতে পাওয়া এবং সবাই লবঙ্গ বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকে।লবঙ্গে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ পাওয়া যায় যেমন; আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম ইত্যাদি।

লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে কি হয়ঃ

লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়া মাধ্যমে স্বাস্থ্যের অনেক উপকারী হয়ে থাকে। লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যম সর্দি,কাশি,অ্যাজমা শ্বাসকষ্ট সহ নানান রকম অসুখ হতে রক্ষা পাওয়া যায়। লবঙ্গে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে থাকে। লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে মাথা ব্যথাও দূর হয়ে থাকে। যারা বেশি ঠান্ডা জনিত রোগে ভুগেন তারা নিয়মিত লবঙ্গ চিবিয়ে খেতে পারেন। এর ফলে আপনি দ্রুত ঠান্ডা জনিত সমস্যা হতে রক্ষা পেতে পারবেন।

খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতাঃ

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে। আমরা এখন খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো।
  • হজম শক্তি বৃদ্ধি করেঃ লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি হয় ফলে আমরা পেট ভরে খাওয়া-দাওয়া করতে পারি। অনেক সময় খাবারের পরিমাণ বেশি হলে আমাদের পেটে হজমের সমস্যা হয়। ফলে আমাদের গ্যাসের সমস্যার সহ পেট ব্যথাও হতে পারে। তাই খাবার খাওয়ার পর দুই,একটি লবঙ্গ মুখে নিয়ে চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
  • মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করেঃ যারা অতিরিক্ত পরিমাণে মাইগ্রেনের ব্যথা নিয়ে ভোগেন, তাদের জন্য লবঙ্গ হতে পারে একটি ব্যথা কমানোর ওষুধ। কারণ লবঙ্গ খালি পেটে খাওয়ার মাধ্যমে মাইগ্রেনের ব্যথা দূর হয় অর্থাৎ কমে যায়।
  • রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ লবঙ্গ নিয়মিত খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয়ে থাকে। ফলে শরীরের কোন ক্ষতস্থান থাকলে তা দ্রুত সেরে ওঠে। আমাদের নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়া উচিত।
  • মুখের দুর্গন্ধ দূর করেঃ খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়ে থাকে। যারা মুখে দুর্গন্ধ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। কিভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূর করবেন তা বুঝতে পারেন না, তাদের জন্য লবঙ্গ একটি সেরা উপায়। লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে মুখের সুবাস বারে।
  • লিভার ভালো রাখেঃ যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে বা নতুন কোষ গজাতে চান, তারা নিয়মিত লবঙ্গ খেতে পারেন। কারণ লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে লিভার ভালো থাকে। বর্তমানে অনেক ডাক্তার খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার উপদেশ দেয়।
  • গাঁটের ব্যথা কমায়ঃ লবঙ্গে থাকা ম্যাঙ্গানিজ, ফ্ল্যাভনয়েড ইত্যাদি উপাদান গাটের ব্যথা দূর করতে পারে এবং হাড়ের ঘনত্ব ঠিক রাখতে পারে। যারা অতিরিক্ত গাটের ব্যাথা নিয়ে চিন্তিত থাকেন, তাদেরকে বলব নিয়মিত খালি পেটে লবঙ্গ খেতে।
  • রক্তের সুগার নিয়ন্ত্রণ রাখেঃ নিয়মিত খালি পেটে লবঙ্গ খেলে এটি আপনার শরীরের রক্তের সুগারের মাত্রার নিয়ন্ত্রণ রাখবে তাছাড়াও ইনসুলিন সিক্রিশন বাড়াতে সাহায্য করে।
  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনঃ নিয়মিত খালিপেটে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস অনেকটা নিয়ন্ত্রনে থাকে। ডায়াবেটিস রোগীদের কে নিয়মিত লবঙ্গ খাওয়া উচিৎ।

খেজুর ও লবঙ্গ একসাথে খেলে কি হয়ঃ

খেজুর ও লবঙ্গ একসাথে খাওয়ার কোনো উপকারিতা সম্পর্কে এখনও পরিপূর্ণ ভাবে কোন কিছু না থাকলেও, আলাদা আলাদা ভাবে খেজুর এবং লবঙ্গে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে। খেজুর এবং লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের অনেক উপকার হয়ে থাকে।

খেজুরে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেল যেমন ভিটামিন A, E, K, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ইত্যাদি উপাদান পাওয়া যায়। এই উপাদানগুলি আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখা, রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি করা সহ নানারকম উপকার করে থাকে। আবার লবঙ্গের মধ্যে থাকা উষ্ণতা এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবাল আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি করা সহ মুখের দুর্গন্ধ কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ব্যথা দূর করে ইত্যাদি। এক কথায় লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা দ্বারা আমরা অনেক লাভবান হয়ে থাকি।

তাই, খেজুর ও লবঙ্গ একসাথে খাওয়া হলে এই দুটি উপাদানের পুষ্টিগুণ একত্রিত হয়ে আরও বেশি উপকারি হতে পারে। তবে এই বিষয়ে আরও গবেষণা এবং তথ্য প্রয়োজন। এবং সবসময় মনে রাখা উচিত যে, যে কোনো খাবার বা উপাদান সঠিক পরিমাণে এবং সঠিক নিয়মে গ্রহণ করতে হবে। অতিরিক্ত পরিমাণে খেজুর বা লবঙ্গ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

লবঙ্গের অপকারিতাঃ

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা থাকলেও অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়ার ফলে আমাদের অনেক সমস্যা হতে পারে। এখন আমরা লবঙ্গের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো-
  • বমি বমি ভাব হওয়াঃ অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে আমাদের বমির ভাব হতে পারে কিংবা বমিও হতে পারে।
  • পেট ব্যথা করাঃ লবঙ্গ যদি চাহিদার চেয়ে বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়, তাহলে পেট ব্যথা হতে পারে।
  • প্রজনন সমস্যাঃ অতিরিক্ত পরিমাণের লবঙ্গ খাওয়ার ফলে গর্ভ অবস্থায় নারীদের প্রজননের সমস্যা হয়ে থাকে। তাই গর্ভ অবস্থায় নারীদেরকে লবঙ্গ খাওয়া হতে বিরত থাকতে হবে।
  • লিভারের সমস্যাঃ লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে যেমন লিভারের সমস্যা দূর হয়ে থাকে তেমন আবার অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া হলে আমাদের শরীরের লিভারের সমস্যা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া হতে দূরে থাকাই ভালো।
  • রক্তপাতঃ অতিরিক্ত পরিমাণের লবঙ্গ খাওয়ার ফলে রক্তপাত হতে পারে। অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়া হতে সাবধান থাকাই উত্তম হবে।
  • এলার্জিজনিত সমস্যাঃ আমরা যদি অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খেয়ে থাকি তাহলে এটি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এলার্জির সমস্যা হতে পারে।
  • অম্বলঃ বেশি পরিমাণে লবঙ্গ খেলে আমাদের শরীরের অম্বল এর সমস্যার দেখা দিতে পারে।
  • চুলকানি হওয়াঃ অতিরিক্ত পরিমাণে লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি রোগ হতে পারে।
এতক্ষন আমরা লবঙ্গের অপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারলাম। লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা দ্বারা আমরা লাভবান হলেও বেশি পরিমাণে লবঙ্গ কখনো খাওয়া উচিত না। কারণ লবঙ্গ বেশি খাওয়ার ফলে এর উপকারিতার চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে।

লবঙ্গ খেলে কি ওজন কমেঃ

লবঙ্গ খাওয়ার ফলে শরীরের ওজন কমে থাকে। কারণ লবঙ্গে উচ্চ ফ্যাটযুক্ত ডায়েটের ফলে স্থূলত্বের সূত্রপাত কমিয়ে আনতে পারে এবং পেটের চর্বি ও লিভারের ফ্যাট হ্রাস করতে ভালো অবদান রাখতে পারে। তবে ওজন কমাতে চাইলে শুধু লবঙ্গ খেলেই হবে না। ওজন কমাতে চাইলে ডায়েট ফলো করতে হবে, নিয়মিয় শরীর চর্চা করতে হবে। তাছাড়াও ভালো একটি ডাক্তার এর সাথে পরামর্শ করতে পারেন।

অসুখ নিরাময়ে লংঃ

অসুখ নিয়াময়ে লবঙ্গ বা লং এর কার্যকারিতা অনেক। লবঙ্গ আমাদের শরীর এর বিভিন্ন রোগ নিরাময় করে থাকে। রোগ নিরাময়ে লবঙ্গের ভুমিকা অপরিসীম। অসুখ নিরাময়ে লং বা লবঙ্গের একটি তালিকা দেওয়া হলো-
অসুখ নিরাময়ে লবঙ্গ লবঙ্গ ব্যবহারের নিয়ম ও কিছু কথা
শ্বাস কষ্ট কমায় লবঙ্গের রস চিবিয়ে খেতে হবে।
হাড় শক্ত করে প্রতিদিন খালি পেটে দুইটি লবঙ্গ খেতে পারেন।
লিভারের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে নিয়মিত দুইটি করে খেতে হবে।
শরীর ফোলা কমিয়ে আনে শরির বেশি ফুলে গেলে চায়ের সাথে লবঙ্গ খেতে পারেন বা সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে শরীর এর ক্যান্সার এর আসঙ্খা কমে যায়।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে লবঙ্গের রস ডায়াবেটিস রোগীদেরকে নিয়মিত খাওয়া উচিত।
মুখের রোগ সারিয়ে তুলে চিবিয়ে কিংবা রস করে খেতে পারেন। এর ফলে মুখের রোগ সেরে উঠে।
হজম ক্ষমতা বাড়ায় লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে হজম শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি পেটের নানারকম সমস্যা দূর করে থাকে।
খাবারে রুচি বৃদ্ধি লবঙ্গ খাওয়ার ফলে খাওয়ারের প্রতি রুচি বাড়ে। তখন খাবার খাওয়ার প্রতি অনিহা থাকে না।
ব্রণের চিকিৎসায় লবঙ্গের পেস্ট চেহারায় লাগালে ব্রণের সমসস্যা দূর হয়ে থাকে।
যৌন রোগে উপকারি লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে যৌন শক্তি বৃদ্ধি হয়ে থাকে। তাছাড়াও শরীর ও মন সুস্থ রাখে। লবঙ্গ নিয়মিত খেলেই হবে।
মাথা যন্ত্রণা মাথা ব্যথা দূর করতে লবঙ্গের বিকল্প খুবই কম। চায়ের মাধ্যমে লবঙ্গ খেতে পারেন।
সর্দি–কাশি ও ঠাণ্ডা লাগা কমিয়ে থাকে আমরা অনেক সময় সর্দি কাশি রোগে আক্রান্ত হই। এই সময় লবঙ্গ চিবিয়ে বা চায়ের সাথে খেলে সর্দি কাশি দূর হয়ে যাবে।
সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমায় লবঙ্গ সাইনাস ইনফেকশনের প্রকোপ কমাটে সাহায্য করে থাকে।
দাঁতের ব্যথা দূর করে দাঁতের ব্যথা দূর করতে লবঙ্গের ভুমিকা অনেক। যে পেস্ট এ লবঙ্গের ব্যবহার রয়েছে সেই পেস্টটি দিয়ে দাঁত মাঝতে থাকুন।

লবঙ্গ খাওয়ার নিয়মঃ

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আমরা কম বেশি অনেকে জানি। তবে লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে কি আমরা জানি? দেখে নেওয়া যাক লবঙ্গ খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে-
  • রান্না ক্ষেত্রে ব্যবহার করাঃ লবঙ্গ খাওয়ার অনেক নিয়ম রয়েছে তবে বেশিরভাগ মানুষ লবঙ্গ রান্না ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকে। বিভিন্ন রকম খাবারে লবঙ্গ ব্যবহার হয়ে থাকে। যেমন; বিরিয়ানি, গরুর মাংস, মাছের তরকারি, খিচুরি, পায়েস, সেমাই, ইত্যাদি।
  • চায়ে লবঙ্গের ব্যবহারঃ বর্তমানে চায়ের সাথে লবঙ্গ না খাওয়া হলে চায়ের স্বাদ পাওয়া যায় না। চায়ে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে চা খেতে ভারি মজা লাগে। তাছাড়াও চায়ের সাথে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের অনেক উপকার হয়ে থাকে।
  • খেজুর ও লবঙ্গঃ নিয়মিত রাতে লবঙ্গ ও খেজুর খাওয়ার মাধ্যমে রাতে সুন্দর একটি ঘুম দেওয়া যায়। আমাদের কে নিয়মিত রাতে খেজুর কিংবা লবঙ্গ খাওয়া উচিৎ। তাছাড়াও লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা তো আছেই।
  • খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়াঃ নিয়মিত লবঙ্গ যদি আপনি খালি পেটে খান তাহলে এটি আপনার শরীর সুস্থ রাখতে ভালো ভুমিকা রাখে। আমাদের কে নিয়মিত অন্তত ২টি করে লবঙ্গ খালি পেটে খাওয়া উচিৎ।
  • চিবিয়ে খাওয়াঃ আমরা যদি নিয়মিত লবঙ্গ চিবিয়ে খেয়ে থাকি তাহলে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের মুখের সাস্থ ভালো থাকে পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর করে সুন্দর সুভাস দেয়।

প্রতিদিন কয়টি লবঙ্গ খাওয়া উচিত?

গবেশনায় দেখা গেছে প্রতিদিন ২টি করে লবঙ্গ খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের অনেক উপকার হয়ে থাকে। প্রতিদিন ২টি করে লবঙ্গ খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আবার আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধি হওয়ার পাশাপাশি লিভারের সমসস্যাও দূর করে থাকে। লবঙ্গে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। ম্যাঙ্গানিজ, ফ্ল্যাভনয়েড, ইত্যাদি লবঙ্গের পুষ্টিগুণের অংশ।

লেখকের শেষ কথাঃ  

লবঙ্গ খাওয়ার উপকারিতা বা লবঙ্গ আমাদের কে অনেক রোগ বালাই থেকে রখহা করে থাকে জন্য যে সদা আমাদের উপকার হবে টা কিন্তু না। চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে লং খেলে আমাদের অনেক সমস্যা হতে পারে। তাই নিয়মিয় ২/৩ টা করে লং বা লবঙ্গ আপনি খেতেই পারেন তবে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন।

আমাদের পোষ্টটি আপনাদের ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে পাশে থাকবেন। আপনাদের সাপোর্ট আমাদের কে অনুপ্রেরিত করবে আপনাদের সাম্নে সঠিক তথ্য তুলে ধরার।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url